প্রকাশিত: ০৫/১২/২০১৭ ৮:০৩ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১০:০৬ এএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
বন্ধ হয়ে গেছে স্থানীয়দের উন্নয়নে কক্সবাজারে কাজ করা বেশিরভাগ এনজিও’র কার্যক্রম। তাদের কাছে এখন গুরুত্বপাচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো। এতে নানা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন

বন্ধ হয়ে গেছে স্থানীয়দের উন্নয়নে কক্সবাজারে কাজ করা বেশিরভাগ এনজিও’র কার্যক্রম। তাদের কাছে এখন গুরুত্ব পাচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো। এতে নানা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকাবাসী। এ সমস্যার সমাধানে উন্নয়ন সংস্থাগুলোর কার্যক্রম নীতিমালার আওতায় আনার পরামর্শ মানবাধিকার কর্মীদের।

স্থানীয়ভাবে যেসব স্কুলে এনজিও দ্বারা পরিচালিত হতো সেসব স্কুলগুলো বন্ধ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছুটছে এনজিওগুলো। শুধু তাই নয় স্কুল ছাড়াও সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পে যে সব প্রকল্প চলমান ছিল সেগুলো মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে গত তিন মাস আগে একে একে অঘোষিত ভাবে বন্ধ করে দেয় বেসরকারি সংস্থাগুলো।

স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, বিভিন্ন এনজিও সংস্থা গরীব অসহায় শিশুদের জন্য পড়াশুনার জন্য ব্যবস্থা করেছিলো। তারা এই কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।

এছাড়াও কিছু এনজিও গরীব নিরীহ মানুষ দেখে তাদেরকে ঋণ দিতো তারাও তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। তারা জানায়, তারা আর ঋণ দিবে না।

২৫ আগস্টের পর বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা অর্থায়নে দেশিয় ও স্থানীয় এনজিওগুলো গত তিন মাসে প্রায় চারশ কোটির টাকার বরাদ্দ নিয়ে আসে। যার পুরো টাকায় রোহিঙ্গাদের সেবায় ও উন্নয়ন কাজে ব্যয় করা হচ্ছে। এই জন্যে জেলা প্রশাসকের কাছে ১৪৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিকল্পনা জমা দেন তারা। নিয়ম অনুযায়ী স্থানীয় জেলা প্রশাসকের ছাড়পত্র নেওয়ার পর কাজের অগ্রগতি রিপোর্ট প্রতি মাসে জমা দেওয়ার থাকলেও অনুমতি পাওয়ার পর সেই আদেশ উপেক্ষা করছেন প্রতিষ্ঠানগুলো। এছাড়াও অনেক এনজিও এর লোকবল ও অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে।

মানবাধিকার কর্মী আদিল চৌধুরী বলেন, ‘একটা রুটিন ওয়ার্কের মধ্যে আনা খুবই জরুরি। তারা সম্পূর্ণভাবে আওতারা বাইরে চলে গেছে। এরা নিজের ইচ্ছামতো কাজ করছেন।’

জেলা প্রশাসক জানান, রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের পর স্থানীয় মানুষের সমস্যা নিয়ে দাতা সংস্থা ও এনজিওগুলোকে বলা হলেও তাতে তারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো.আলী হোসাইন বলেন, ‘বিভিন্ন এনজিও ও প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানরা মনে করেন মিয়ানমার লোকজনকে সাহায্য করলেও তাদের উদ্দেশ্য পরিপূর্ণ হবে।’

স্থানীয়দের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতার তোয়াক্কা না করে স্থানীয় এনজিওগুলো ছুটছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে। হঠাৎ করে এ চলমান এই প্রকল্পগুলো বন্ধ করে দেয়াই আর্থসামাজিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন এসব এলাকার মানুষ। সব মিলেয়ে এনজিও গুলোকে জবাবদিহিতার মধ্যে নিয়ে আসা জরুরি। সুত্র: দৈনিক কক্সবাজার

পাঠকের মতামত

জামিন নামঞ্জুর,ঘুমধুমের ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

চট্টগ্রামের একটি রাজনৈতিক হত্যা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ...

বিসিআরসি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড- ২০২৫ এ ভূষিত হলেন পুলিশ সুপার মো: নাইমুল হক পিপিএম

পর্যটন খাতের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ নাইমুল হক পিপিএম ময়মনসিংহ ...

সাজেদা বেগমকে গর্জনিয়া ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব অর্পন

শামীম ইকবাল চৌধুরী,নাইক্ষ্যংছড়ি:: গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ...